Description
বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ । বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ কি এ প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা ধারাবাহিকভাবে আর্টিকেলটিতে উপস্থাপন করেছি তো চলুন প্রশ্নের উত্তরগুলো ধারাবাহিকভাবে আর্টিকেলটি থেকে জেনে নেয়া যাক ।
বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই), একটি বিশ্বব্যাপী অবকাঠামো উন্নয়ন কৌশল যা ২০১৩ সালে ১২৬ টি দেশ এবং ২৯ টি আন্তর্জাতিক সংস্থা যৌথভাবে বেল্ট অ্যান্ড রোড নির্মাণে চীনের সাথে সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে গৃহিত হয়। আরো পড়ুন: ছেলেদের পে-নি লম্বা করার ঔষধ ৭৫০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এখনই ঔষধ কিনুন
এটিকে শি জিনপিংয়ের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিআরআই শি জিনপিংয়ের “মেজর কান্ট্রি ডিপ্লোম্যাসি” কৌশলের একটি কেন্দ্রীয় উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা চীনকে তার ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা এবং মর্যাদা অনুসারে বৈশ্বিক বিষয়গুলোর জন্য একটি বৃহত্তর নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানায়। ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত, ১৪৬টি দেশ BRI-তে স্বাক্ষর করে।
বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ কি
এটি চীনের জন্য একটি সম্প্রসারিত, আন্তঃনির্ভরশীল বাজারের বিকাশ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি এবং উচ্চ প্রযুক্তির অর্থনীতি গড়ে তোলার একটি প্রচেষ্টা।
একটি একীভূত বৃহৎ বাজার তৈরি করা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় ও একীকরণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় উভয় বাজারের পূর্ণ ব্যবহার করা, সদস্য দেশগুলির পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বিশ্বাস বৃদ্ধি করা
এশিয়ার দেশগুলোর অবকাঠামোর উন্নয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং চীনা পণ্যের জন্য নতুন বাজার তৈরি করা, শিল্প সক্ষমতা রপ্তানি করা এবং পণ্য সমৃদ্ধ দেশগুলোকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে একীভূত করা। চীনা অর্থনীতি বিআরআই-এর উদ্দেশ্য।
বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ও বাংলাদেশ
বাংলাদেশ এর অন্তর্ভুক্তি
নানা বাধা-বিপত্তির মুখে বাংলাদেশ ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের সময় বেল্ট অ্যান্ড রোড পরিকল্পনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমান গ্লোবালাইজেশনের যুগে দেশের অর্থনীতি বন্দি করে রাখলে খুব বেশিদূর আগানো যাবে না অর্থনীতিকে যতটা সম্ভব মুক্ত করে দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালে মধ্যম আয় ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের লিস্টে প্রবেশের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সে লক্ষ্য অর্জনে বহির্বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসায়িকসহ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
আর চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের সেই চেষ্টাকে আরো একধাপ সামনে প্রসারিত করবে। এই মহাপরিকল্পনার আওতায় কে টু কে সড়ক ও রেলপথ নির্মিত হলে স্থলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। চীন বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তির দেশ। চীন নিজেদের প্রয়োজনেই বাড়তি অর্থ অন্য দেশে বিনিয়োগ করছে।
Reviews
There are no reviews yet.